ভাষার ধাঁধায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! খুব শীঘ্রই বিজয়ীদের নাম জানিয়ে দেয়া হবে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে একদল সাহসী তরুণ-তরুণী রুখে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানী পুলিশের সামনে। দাবি একটাই - মুখের বোল ফোঁটার পর থেকে যেই বাংলা ভাষায় কথা বলা শিখেছে সেই ভাষাতেই যেন বলে জীবনের শেষ কথাটি। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই! এই দাবিতেই রাজপথ কাঁপিয়ে, মুঠি শক্ত করে, অকুতোভয় বাংলার দামাল যুবকেরা সেদিন দাঁড়িয়ে ছিল। একটি বারও ভাবেনি নিজেদের কথা। অস্তিত্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিলো আমার, আপনার চিরচেনা এই বাংলা ভাষা। সেই রফিক, সালাম, জব্বারের আত্মত্যাগেই আজ আমরা মন খুলে কথা বলি এই চিরচেনা বাংলা ভাষায়। গাই গান, লেখি কবিতা। কতো আড্ডা, খুঁনসুটি। কত রাগ, অভিমান। খেলার মাঠে আমাদের লড়াকু ক্রিকেটাররা জিতলে যেই ভাষায় সবাই একযোগে চিৎকার করে উঠি। যেই ভাষায় একসাথে, এক সুরে দাঁড়িয়ে গাই "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি"। এই সেই চিরচেনা বাংলা ভাষা। আমার, আপনার, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মুখের ভাষা। ১৯৫২ এর সেই দামাল তরুণদের আত্মত্যাগেই গোটা বিশ্ব শিখেছে নিজের মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা। আজকের এই দিনটি তাদের জন্য। আজকের এই দিনটি অমর একুশে ফেব্রুয়ারী।
১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে স্বীকৃতি দেয়। অতএব ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে গোটা বিশ্বব্যাপী প্রথমবারের মতো পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, ও উদযাপন করা হয় ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। আজ পৃথিবীর ৬০০০টি ভাষার প্রায় ৪৩ শতাংশই বিপন্নের মুখে। এতগুলো ভাষার মধ্যে মাত্র কয়েকশো ভাষা জায়গা করে নিতে পেরেছে আমাদের বই-পুস্তকে, অফিস - আদালতে। তাই আসুন আমাদের প্রানপ্রিয় বাংলা ভাষা ব্যবহারে আমরা আরো সচেতন হই। নিজেদের ভাষার সুন্দর ও সাবলীল ব্যবহারের মাধ্যমে ধারণ করি অমর একুশের চেতনা।