প্রতি বছর ২১শে জুন বিশ্বের প্রায় ১২০ টি দেশে উদযাপিত হয় 'বিশ্ব সংগীত দিবস"। দিনটি উদযাপনের প্রাথমিক লক্ষ্য হল সব ধরণের সংগীতকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং অপেশাদার সংগীত শিল্পীদের কাজকে উৎসাহিত করা। বিভিন্ন জনবহুল স্থান বিশেষত পার্ক, রাস্তা, জাদুঘর কিংবা স্টেশনে এই দিনে উন্মুক্ত সংগীত পরিবেশনের আয়োজন করা হয়। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাক ল্যাং এবং ফরাসী সুরকার এবং সংগীত সাংবাদিক মরিস ফ্লরেটের উদ্যোগের প্যারিসে প্রথম সংগীত দিবস পালন করা হয়। সংগীত প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষের বিনোদনের অন্যতম উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে যে গান কিংবা শ্রুতিমধুর সুর মানসিক চাপ কমায়, ভালো ঘুমের জন্যও সাহায্য করে। কিছু ক্ষেত্রে সংগীতের তালে তালে মানুষ দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশের সংগীত অত্যন্ত বৈচিত্রময় ও বিভিন্ন আকর্ষণীয় শৈলীতে বিস্তৃত। আমাদের দেশে আছে ক্লাসিকাল, ফোক,রক সহ বিভিন্ন ধাঁচের সংগীত। আমাদের ধ্রুপদী সংগীতের প্রাণ হল রাগ, বিশেষত উত্তর ভারতীয় ঘরানার রাগ। রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতের আবেদন রয়েছে সকল শ্রেণির বাঙালির কাছে। লোকায়ত গান বাঙালির চিরায়ত ভাবসম্পদের আধার। ৯০ এর দশকে এই দেশে ব্যান্ড সংগীত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
আসুন এই দিনটিকে সকলে মিলে উদযাপন করি এবং সব ভেদাভেদ ভুলে সংগীতের সুরে গড়ে তুলি আনন্দময় জীবনের ঐকতান।
আরও জানতে ভিজিট করুন