লকডাউনের সময় সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি স্মৃতিচারণ।
সিলেট,আমাদের প্রথম অভিযান,বলতে গেলে আমারও ব্যাক্তিগতভাবে প্রথম কোনো বড় মাপের,বড় বাজেটের ট্যুর প্ল্যান,সাথে ১ম বর্ষের প্রথম ছয় মাসের কিছু প্রিয়মুখ!
সিলেট অভিযান নিয়ে কোন কিছু বলতে গেলে আসলে বাদ দেওয়ার মতো কোনো অংশই খুজে পাওয়া দায়,একদম যাবার আগের প্ল্যানিং থেকে শুরু করে একে একে পরবর্তীতে সবাই যখন স্পট থেকে ফিরছি আবারো সেই চেনা শহরে, "বন্ধুত্ব"শব্দটি নতুন করে তখন হয়তো সবারই পাশের সীটের সঙ্গী হয়েছিলো!
আমরা রাতের উপবন এক্সপ্রেস দিয়ে সিলেট ভ্রমণ যাত্রা শুরু করেছিলাম,স্বভাবত যার বাসা থেকে যে স্টেশন কাছে ছিলো সে অনুযায়ী কমলাপুর আর বিমানবন্দরে দুই টীম ভাগ হয়ে গেলো।
আমার বাসায় বিকালেই হাজির হয়ে গিয়েছো শিহাব,মাহিন আর নাজমুল।নাজমুলের হ্যাট দেখে প্রথমে ভাবছিলাম আমরা মনে হয় সমুদ্রসৈকতে যাবো,বা হাওয়াই,বালি,মালদ্বীপ বা সেন্টমার্টীন ফিলিং ভেসে উঠতেছিলো,কিন্তু হ্যাটটা অনেক পছন্দ হয়েছিলো।
এই তিনজনের ভিতরে মাহীন হলো আমার আরেক ট্রাভেল এক্সপার্ট,তখনকার আমলে ভাবতাম ওর হয়তো অনেক অভিজ্ঞতা আছে এগুলোতে, ট্যুরে কাজে দিবে,কিন্তু ওর ব্যাগ দেখে ভাই যেকেউই বলে উঠবে,বাংলাদেশে হয়তো ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে,এখনই সবাইকে বাংকারে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত থাকতে হবে, ওর "বক্সারদের পাঞ্চ মারার বালুর ব্যাগ"-এর মতো ব্যাগদেখে আমার এগুলোয় মাথায় আসছিলো প্রথমে।
আলহামদুলিল্লাহ,পরে তিনজনকে নিয়ে মোহাম্মাদপুরের বিখ্যাত সাত গুম্বজ মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করি,নামাজ শেষে মসজিদের নিজস্ব বিশাল ফাকা এরিয়া রয়েছে সেখানে আড্ডা দিই,মাগার,আমাদের ফটোবাবুর উদ্বোধন হলো এরই মাঝে।বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাফিক্সের এংগেল পরিচিত হয়ে গেলো পোজের মাধ্যমে,কিন্তু এই পৈশাচিক টর্চার যে মাত্র শুরু,তা আর বলতে হয়...
ট্রেন রাত্র ১১.৩০ ছাড়লেও আমরা ৭টার মধ্যেই বের হয়ে যাই,কারণ আমার এর মাঝে ট্যুরের আউটফিট নেওয়া বাকী ছিলো।মোহাম্মদপুর থেকে লোকাল বাসে আমাদের ৪ জনের এই ৩রাত ২দিনের অভিযাণ শুরু হলো।
আউটফিট শাহবাগ থেকে কালেক্ট করার জন্য নেমে যাই আগেই,পরে আমার সাথে মাহিনও নেমে পড়ে বুথ্র থেকে টাকা উঠানোর জন্য,আউটফিট নিয়ে আমরা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে হাজির ১০টায়,আমাদের আগে শিহাব আর নাজমুল পৌছিয়ে গেছে,এরপর একে একে সবাইকে কল,কে কোথায় এবং ১১টার মধ্যে কমলাপুর ব্রাঞ্চের সবাই চলে আসলো।
সবাই নিজেদের আউটফিট নিয়ে হ্যাপী,কিন্তু আমাদের তাফরির ভাই মন খারাপ,যেনো ট্যুরের ৯৯
৯৯% "পোশফটোই" মাটি।জিজ্ঞাসা করলাম কি সমস্যা ভাই,পরে বলে গেঞ্জি চাপানো যাবে কিনা,এই কথা শুনে আমরা সবাই এক দম হাসলেও ভাই যেনো একদম হার্টব্রোক টাইপ হয়ে গেলো,শুরুতেও আরেকবার হার্টব্রোক হয়েছে,যখন দূর থেকে আমার কালো গেঞ্জির উপর কলার দেখে আর কাছে এসে বলে,"কলার-আলা বানাইসস?"
-"নাহ,প্ল্যান না হলো কলার ছাড়া।"
-"তাইলে তোর এই গেঞ্জিতে কলার ক্যা?"
-"আরে ভাই এইটাতো ভিতরের পোলোর কলার!"
ঠিক এভাবেই শুরু হয়েছিলো আমাদের ট্রেন ভ্রমণ শুরু হবার আগের অংশ।
ট্রেন শুরু হবার পরে....কমলাপুর থেকে ট্রেন ছাড়লো আর ইঞ্জয়মেন্ট মূলত স্টার্ট বাটনে ক্লিক করলো।আমরা শোভন এর ১৩টি সীট নিয়েছিলাম এক বঘিতে যার কারনে ঐটায় আমাদেরই রাজত্ব ছিলো,যদিও আরেকটা একটি সীট অন্য বঘিতে ছিলো কিন্তু একা কেউ বসতে না চাওয়ায় ঐ সীট দান না করিয়া বিকল্প ছিলোনা!
আমাদের বঘিতে কমলাপুরের টীম, বিমানবন্দর টীমকে ছাড়াই আয়োজন উদ্দ্বোধন করে দিলো এরপর ট্রেন বিমানবন্দরে থামার পর খেল জমালো আমাদের নিলয় ভাইয়ের গান ,একের পর এক গান আর সবার ব্রেনের ডোপামিন রিলিজ বৃদ্ধি,ফলাফল স্বরুপ সবাই ফুল মাস্তি মোডে নাচ শুরু করলো,কার যেনো সাথে ব্লুটুথ স্পিকার ছিলো সেটা অন করায় মোটামুটি ছোট একটা পার্টি বুথ তৈরী হয়ে গিয়েছিলো!
কিন্তু,এই ক্লাইম্যাক্সের আসল স্টার মুনশী ভাই,আইটেম সং-এ ভাইয়ের নাচ যেন "চিকনি চামেলীকে" হার মানায় সে রাত।পরে আবার আরেক ড্যান্সবয় জয় ফ্লোর নেওয়ায় হাড্ডা-হাড্ডি খেল জমে গিয়েছিলো তাদের।
চিন্তার বিষয় আমার এই ছিলো যে সবাই গুঞ্জিয়ে মাত্র ৮ সীটেই বসছিলো কিন্তু বাকি সীটগুলা বীপরিতে হবার জন্য ওইগুলা ফাকাই ছিলো,পরবর্তীতে কই থেকে চাচা,কাকা,নানারা আইসা "আপন সম্পত্তি ভাইবা "এমন বসা দিলো-আর উঠানোই যায়না!
সবাই এর মাঝে একজন ছিলো চুপচাপ,নীরব কিন্তু ইনজয় করছিলো সব নাচ গানই,সে ছিলো আমাদের অনিক ভাই,সে প্রথমবার এইভাবে বের হইসে কোনো ট্যুরে!তাছাড়া ভাই আগেথেকেই অনেক লাজুক,কিন্তু সে মানুষটা যখন এই মোজ-মাস্তির ভিতরেও এশার নামাজ পড়ার জন্য রেডী হচ্ছিলো তখনই বুঝেছি,এই আমাদের "আসল লেজেন্ড"-ভাই।সেই রাতে তার সাথে থেকে আমারও নামাজটা হয়েছিলো আলহামদুলিল্লাহ!
সারারাত মোটামুটি কেউই ঘুমাইনাই,যদিও শেষরাতে বারবার বলায় আর টায়ার্ড হওয়ায় সবাই যখন ঘুমানোর ট্রাই মারছে,আমাদের বিখ্যাত সায়মন,কাউকেই ঘুমাতে দেয়নাই।ট্রাস্ট মি,সেদিন ঐ মুহূর্তে সবার এতো ঘুম লাগছিলো কিন্তু ওর বাউল-রক মিক্স গান যেন মাত্র ফ্লোরে আসছে!কেউ যদি একে-৪৭ আনতো তাহলে কি যে হইতো সায়মনের!
শেষ রাতে বৃষ্টির ফোটা জানলা দিয়ে পড়ার মাধ্যমে ঘুম ভাঙলো,যদিও ঘুমের স্টাইল ছিলো,একজনের মাথা-তো আরেকজনের পা,একরকম ঘুম ট্রায়াঙ্গেল!
জানলা দিয়ে বাহিরে তাকাতেই দেখি হাল্কা বৃষ্টি,সাথে ভোরের আলো ফুটছে,আমরা স্টেশন আর ২০মিনিটেই পৌছাবো,ব্যাস ঘুম হারাম!যদিও অনিক ভাই ঘুমায়নি কারণ এটা তার প্রথম ট্রেন জার্নি ছিলো!
ট্রেন যখন সিলেট নামলো,এক গ্রুপ বাথরুমের লাইনে লাইন দিলো,কিছুজন ব্রাশ-পেস্ট দিয়ে স্টেশনেই মুখ ধুচ্ছিলো,আমি আর মাহির বের হই এর মধ্যে লেগুনা হায়ার এর জন্য,পরে একজন ভায়া-পাই তাকে নিয়ে আমরা রোওনা হই যাত্রার প্রথম স্পট থাকার হোটেল,নাহ!আপনারা ভুল!আমরা রোওনা হলাম বিখ্যাত "পাঁনসী"হোটেল নাস্তার জন্য এবং... প্রথম গন্তব্য ছিলো পানসী হোটেল,
এক লেগুনা নিয়ে সবাইকে বসানোর পর মনে হইলো যেনো লেগুনাটা আমাদের জন্যই বানানো হয়তো!একদম সাইজমতো হয়েছিলো!৬জন করে দুই পাশে ১২ এবং মাহিন,আমি ফ্রন্টে।
রাস্তা দিয়ে যাবার পথে কয়েকটা হোটেল ঘুরে কথাবার্তা বলে যা বোঝা গেল,এখানে হোটেলের এক্সপেকটেড খরচ আমাদের প্ল্যানিং এর উপর দিয়ে যায় যায়,সব মিলিয়ে বাজেট ফেইল হবে,তাই আর না ঘুরে ক্ষুদার্থ জনতালীগের সহীত পৌঁছে গেলাম পানসীতে।
খাবারের কথা নতুন করে কিছুই বলার নেই,যথেষ্ট এবং অত্যন্ত বাজেট ফ্রেন্ডলি। খাবার পর আল্লাহর নাম নিয়ে আরেক প্লেট সাবার করেছিলাম!
লেগুনার ড্রাইভার ভায়া আমাদের আগে থেকে ফিক্স করা ছিলোনা বরং কিসমতের প্রেক্ষিতেই পেয়ে বসা,এতোক্ষণ তিনিও আমাদের সাথে নাস্তা করলেন।
আমি,মাহিন তার সামনে গিয়ে বসলাম দরদামের জন্য,তিনি যথেষ্ট ভদ্রলোক বুঝলাম তার কথায়,তাকে আগেই বলে দিয়েছিলাম আমরা দামাদামি করতে একদমই অপছন্দ করি,তারপর সে তার রিজনেবল এমন রেঞ্জ দিলো যেটার উপর আর বার্গেইনই করিনি আমরা,মনে হয় আল্লাহর রহমত!
লেগুনা ড্রাইভার ভায়া আমাদের নিয়ে গেল আরেক হোটেল,সেখানে দরকষাকষি করে ৩ রুম নেওয়া হলো।কোনোরকম লাগেজ রেখেই দৌড় লেগুনায়,শুরু,"মিশন রাতারগুল"!
সিলেটের হাইওয়ে রাস্তা নিয়ে পড়ে যা বুঝেছিলাম তাতে মনে হচ্ছি কয়েকটা হাড্ডি হয়তো গুড়ো হতে চলেছে,কিন্তু রাতারগুলে যাবার পথে রাস্তা এতোটা
বাজে ছিলোনা,আমরা আমাদের দেখানো পথে রাতারগুল নিয়ে গেলাম গাড়ি যদিও সে তার মতো যেতে চেয়েছিলো,পড়ে সেখান থেকেই ৩ নৌকোয় অভিজান শুরু!
যথেষ্ট পানি না হলেও যতটুকু ছিলো তাতে কাজ খুব মন্দ যায়নি।বরং শিভাব ভাইয়াকে নিয়ে বিরাট মুশকিলে ছিলো সবাই বলা যায়,ভাই আমার "একাই ২০০"-সাইজে...।
ছবি তোলা নিয়ে যথেষ্ট প্রতিযোগিতা করা দরকার ছিল, যেহেতু আমাদের ক্যামেরা একটিই,আর সেটায় তেমন এডভান্স লেন্সও নেই।তারপরও ওয়াচটাওয়ারের আশেপাশে যা ছবি উঠেছিল তাতেই আলহামদুলিল্লাহ!
কায়াকিং করার শখ, " অপূর্ণ ইচ্ছাশক্তি " রয়েই গেল।তাদের কায়াকিং করার পেডেল ছিলোনা,এবং যদি করতে হয় তবে সংখ্যা ২-৩জনই পারবে!তাই ভাই এইবার সবাই কম বেশি মন থেকে এই পরিস্থিতিতে, "স্যাক্রিফাইসই সলুশনে"বিশ্বাস করে কেউই নামলোনা!
আলহামদুলিল্লাহ এরপর রওনা হই পরবর্তী ট্যুরিজম স্পষ্ট বিখ্যাত " বিছানাকান্দি",যদিও আমাদের প্ল্যান সাজিয়েছি বিছানাকান্দির সাথে পান্থুমাই এবং উমাতছড়িও।
এবার জার্নি করার পথে সবাই কম বেশি "ট্যার পাইসে", হাড্ডী গুড়া হইলে কেমন অনূভুতি,ভয়াবহ রাস্তা ছিলো,যেনো শেষ দিগন্তে সবাই পৌছাবো হসপিটালে।মাঝ রাস্তায় লেগুনা গেল খারাপ হয়ে,আল্লাহর রহমতে এবার সবাই একটু ফ্লেক্সিবল হইলাম!
পরবর্তীতে বিছানাকান্দি স্পট পোছিয়ে নৌকা দামাদামির পালা,নৌকা মাঝির সাথে "কড়া ফাইট", না করলে এই পর্যায়ে আপনি লোকসান গুনবেন।কারণ তারা বারগেইন করে অভস্ত,ভদ্রলোক হয়ে লাভ নেই।
আমরা যে ৩স্পট যাবো বোঝালাম,কিন্তু সে সময় উমাতছড়ি যাবা সম্ভব না কম পানির কারণে,এছাড়া পান্থুমাই যাবাও অনেক কষ্ট হবে বলে মাঝি জানালো।তবুও যুবকদল রাজী দুই স্পট ঘুরতেই!
প্রথমে আমরা পান্থুমাই যাবার জন্য নৌকো ঘুরোলাম,যেতে ১.৩০ ঘন্টা লাগলেও পানি কম থাকায় অনেক যায়গায় নৌকা আটকিয়ে যাচ্ছিলো।সবাই নেমে পানিতে ধাক্কা দিয়েছি,যেভাবে গাড়ি ইঞ্জিন ফেল হলে ধাক্কা দেয়!
পৌছোলাম পান্থুমাই,কিন্তু বেলা প্রায় শেষ, এখন ৫০০মিটার দূর থেকেই মাঝি বলে আর সামনে যাওয়া যাচ্ছেনা কম পানির জন্য,সবাই এতো দূরের ভিউ দেখার জন্য আসিনি,বিধায় এবার নেমে পানিতে যে যার মতো দৌড়ে পাড় হতে শুরু করলো মধ্যবর্তী এই পথ,যেনো ছোটখাটো, " মিলিটারী ট্রেনিং"।থামা যাবেনা,এগতে থাকতে হবে,আর যত দ্রুত শেষ করতে পারবো, তত দ্রুত বিছানাকান্দি যেতে পারবো!
ভারত ত্রিসীমার ভেতর পান্থুমাই অবস্থান করে।১২০মিটার এর কাছাকাছি এসে, "সামনে ভারত সীমান্ত" সাইনবোর্ড দেখে এইখান থেকেই সবাই "পোশ ফোটো" তুলতে ব্যাস্ত সেখানে কয়েকজন মেলাচ্ছে অন্য ইকুয়েশন, আরো কাছে কিভাবে যাওয়া যায়!
দেখলাম কিছু ডিঙি নৌকো নিচে বসা,তাদের বলায় তারা বলল ওপারে তারা নিয়ে যেতে পারবেন।যদিও নৌকার অবস্থা একদমই দেখার মতো,যেনো নারিকেল খোসা!চারিদিকে ফুটা।
এরপরও কয়েকজন রিস্ক নিয়ে এগোলো পা বাড়িয়ে এই নৌকা দিয়েই বিশ্বজয় করায়,যার মধ্যে আমি,মাহিনও ছিলেম বটে!
বিলিভ ইট অর নট,নৌকায় বসবার পর যেভাবে দুলছিলো সেভাবে মনে হচ্ছিলো এইবার এখানেই অক্কা আসবে আর দেহটাও কেউ পাইবেনা,যেহেতু পানি গভীর!
আল্লাহর রহমতে ওপারে পৌঁছে নগদ কিছু ছবি তুলেই ফিরে এলাম বাংলাদেশের মাটিতে এই সীমিত আকারের,"ভারত ভ্রমণ "শেষ করে।
নৌকোয় ফিরে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে এবার রওনা হওয়া কিন্তু সময় যে বড় দায়,সূর্য ঢলে পড়েছে,কিন্তু এবার যেতে বেশি সময় লাগলো না!বরং ধারণা করছিলাম যেখানে ২ঘন্টা সেখানে ৩০মিনিট এর মধ্যে কিভাবে চলে এলাম বুঝতে পারলামনা!তখনও আধো আধো সূর্য থাকায় বিছানাকান্দি নেমেই বাজিমাত!
সবাই সবার মতো থাকলেও দৌড়ে আগে মার্কেট করে নিলাম যেহেতু সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,এরপর খাবারের ব্যবস্থা করে নৌকোতে পাঠিয়ে দিলাম।এরপর সবাই একে একে ফিরে আসলে সন্ধ্যার অন্ধকারে আমি যা"উরাধুরা"আনলাম,চোখ কান বন্ধ করে খাওয়া শুরু,কি আর করবে,"মিলিটারি ট্রেনিং "আর সারাদিনের মধ্যে খাবার যে এখনও পেটে পড়েনি!তবে সেই অন্ধকার এর মধ্যে "বোতলের ডাল" আর "শুটকি সাথে মাংস মিক্স" খাবারের সাথে আবহাওয়াটা অনেক দিন স্বরণীয় হয়ে থাকবে!
ফিরে আসতে আসতে সবাই যার যার মতো রুমে গিয়ে ঘুম,রাতে আর কি হলো আমি জানিনা তেমন,কারণ যেখানে পড়েছিলাম,সেখানেই...!
See More
16 People have loved this